💰 ফেসবুকে Content Monetization পাওয়ার সহজ উপায় – একবার শিখে নিন, আজীবন ইনকাম করুন!

হারারেতে রৌদ্রোজ্জ্বল এক বিকেল। গ্যালারিতে বাংলাদেশি পতাকার ঢেউ, চোখেমুখে উচ্ছ্বাস আর গর্ব। এমনই এক মুহূর্তে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল লিখে ফেলল এক নতুন ইতিহাস। ফাইনালে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়ে তারা জিতে নিল ত্রিদেশীয় সিরিজের স্বপ্নের শিরোপা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই ধাক্কা খায়। মাত্র ২৪ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। গ্যালারিতে তখন নীরবতা, কিন্তু মাঠে নামল দুই সাহসী যোদ্ধা—রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকি। তারা যেন বুঝিয়ে দিল, লড়াই এখনো বাকি।
চতুর্থ উইকেটে তারা গড়ে তোলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত জুটি। কালাম সিদ্দিকি খেলেন দায়িত্বশীল ইনিংস—৭৫ বলে ৬৪ রান। অন্যপ্রান্তে রিজান হোসেন ছিলেন আক্রমণাত্মক, খেলেন ৯৫ রানের অসাধারণ ইনিংস, মাত্র ৫ রানে সেঞ্চুরি মিস করেন। তাদের ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ২৬৯/৫।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকেই চাপে পড়ে। রিজান হোসেন এবার বল হাতে হাজির হয়ে নিলেন ৫ উইকেট। তার সঙ্গে আল ফাহাদ শিকার করেন ৩ উইকেট, আর স্বাধীন ইসলাম দেন গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট। শেষ পর্যন্ত ৪৮.৪ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ২৩৬ রানে।
ব্যাটে ৯৫ রান, বলে ৫ উইকেট—এই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন রিজান হোসেন। পুরো ম্যাচজুড়ে তার আক্রমণাত্মক মনোভাব এবং ঠাণ্ডা মাথার কৌশলই জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে।
শেষ বলের পতন আর উদযাপনের বিস্ফোরণ—খেলোয়াড়দের গায়ে লাফিয়ে পড়ে সতীর্থরা, গ্যালারিতে আনন্দে ভাসে সমর্থকরা। এই জয় শুধু একটি ট্রফি নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণার গল্প।
Comments
Post a Comment